কম্পিউটারের গতি বাড়াতে করণীয় বিষয়
উইন্ডোজ বেশির ভাগ কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের অন্যতম জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার। পৃথিবীর মধ্যে অধিকাংশ কম্পিউটার ব্যবহারকারীরাই তাদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতে উইন্ডোজ ব্যবহার করে। কিন্তু উইন্ডোজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি সময়ের সাথে সাথে ধীরগতির হয়ে যায়। অর্থ্যাৎ একটানা কিছুদিন চললে এর গতি পূর্বের তুলনায় অনেক কমে যায়। তবে এই ব্যাপারে কিছু কৌশল অবলম্বন করে সহজেই উইন্ডোজ পিসির স্পিড বাড়ানো যায়। চলুন দেখে নিই তেমনই কিছু টিপস।১। কম্পিউটারের রান অপশন্স থেকে temp, %temp%, prefetch এবং recent ফাইল গুলো ডিলিট করে দিন। ডিলিট করার সময় ইউজার পারমিশন চাইতে পারে। কম্পিউটারে কাজ করার সময় অনেক টেম্পরারি ফাইল বা জাংক ফাংশন তৈরি হয় এবং উল্লিখিত ফোল্ডারগুলোতে জমা থাকে। যেগুলা আমাদের কম্পিউটারের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাই কিছুদিন পর পর নিয়মিত এই ফাইলগুলো ডিলিট করে আপনার কম্পিউটারের গতি বাড়াতে পারেন।
২। নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ করতে পারেন। লম্বা সময় একই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করলে অনেক সময় ভাইরাসের কারণে অথবা ক্র্যাসিং ফাইল এর জন্য কম্পিউটারের গতি কমে যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম সেটআপ দিলে আমাদের কম্পিউটার এর গতি বৃদ্ধি পেতে পারে।
৩। মাদারবোর্ড এ অনেক সময় ময়লা, ধুলা-বালি জমে। আমাদের কম্পিউটার এর জন্য এটি খুবই ভয়ানক এবং গতি কমিয়ে দেয় ৫০-৭০% পর্যন্ত! তাই নিয়মিত মাদারবোর্ড পরিষ্কার রাখা উচিত। সিপিউ এর কুলিং ফ্যান এবং পাওয়ার সাপ্লাইও নিয়মিত পরিষ্কার করা উচিত
তবে ল্যাপটপ এর মাদার-বোর্ড পরিষ্কার এর সময় সতর্ক থাকা উচিত। ভালো হয় যদি সার্ভিস সেন্টার এ নিয়ে পরিষ্কার করেন।
৪। কম্পিউটার এর র্যাম, মাদারবোর্ড এবং বাস স্পিড এর উপর স্পিড নির্ভর করে অনেকাংশে। সুতরাং আপনি চাইলে র্যাম এবং প্রসেসর আপডেট করে স্পিড বাড়াতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে শুধু র্যাম বা শুধু প্রসেসর পরিবর্তন করা উচিত নয়। এতে করে মাদারবোর্ড এর সমস্যা হতে পারে। এই জন্য র্যাম বা প্রসেসর আপডেট এর সময়, মাদারবোর্ড এর সাথে এডজাস্ট করে সে দিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে বর্তমানে হার্ডডিস্ক ড্রাইভ ষ্টোরেজ এর পরিবর্তে এসএসডি ষ্টোরেজ ব্যবহার করে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের গতি অনেকটাই বাড়ানো যায়।
৫। অনেক সময় সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার এর কম্বিনেশন ঠিক না থাকায় পিসি স্লো হয়ে যায়। যেমন, এন্ড্রয়েড স্টুডিও ওপেন করলে ৪জিবি র্যাম এর কম্পিউটারে আপনি অন্য কোন কাজ করতে পারবেন না। আবার র্যাম যদি এর থেকেও কম হয় তাহলে ভার্চুয়াল ইমুলেটর চালাতে পারবেন না। এ ক্ষেত্রে কনফিগারেশন এর সাথে সফটওয়্যার এর কম্বিনেশন ব্যালেন্স করে কম্পিউটার স্পিড বাড়াতে পারেন। অর্থ্যাৎ মাদারবোর্ডের সাথে কম্বিনেশন হয় এই ধরণের প্রসেসর, র্যাম এবং হার্ডডিস্ক ব্যবহার করলেও কম্পিউটারের গতি বাড়ানো সম্ভব।
৬। অনেক সময় সফটওয়্যার আপডেট না করার কারণে কম্পিউটার এর স্পিড কমে যেতে পারে। যেমন আগে হয়ত কোন ওয়েব সাইট শুধু টেবিল দিয়ে ডিজাইন করা ছিল যেটা এখন জাভাস্ক্রিপ্ট এ আপডেট করা হয়েছে। এখন আপনার ব্রাউজার যদি পুরাতন হয় তাহলে এই ওয়েব সাইট লোড হতে সময় লাগবে। একই ভাবে অন্য সফটওয়্যার গুলো কম্পিউটার এর স্পিড কমাতে/বাড়াতে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও পুরাতন মডেলের কনফিগারের একটি কম্পিউটারে বর্তমানের আপডেটেড সফটওয়্যার ইন্সটল করলেও কম্পিউটারের গতি অনেকাংশে কমে যায়।